
সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার থেকে আলীনা ইসলাম আয়াত নামে একটি শিশু নিখোঁজ হন। নিখোঁজ হওয়ার ১০ পর পুলিশের তদন্তের মাধ্যমে তার সন্ধান মেলে। জানা যায় শিশুটিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হ/ত্যা করে টুকরো টুকরো করে সাগরে ফেলে দেয় হ/ত্যাকারী। হ/ত্যাকারী তথ্য দেওয়া অনুযায়ী (পিবিআই) তদন্তের মাধ্যমে সেই লাশের টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে, শিশু আয়াতের লা/শ থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া গেছে, যাকে অপহরণের পর ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুই পায়ের পর মাথাসহ শরীরের তিনটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী সড়কের শেষ প্রান্তে ড্রেন সংলগ্ন স্লুইস গেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে ১৫ নভেম্বর বিকেলে নিখোঁজ হন আয়াত। পরে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনা প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে স্লুইস গেটে আটকে থাকা পানিতে পলিথিনে তল্লাশি চালিয়ে মাথাটি পাওয়া যায়। আবির আলীর বর্ণনা অনুযায়ী, ‘মাথাটি একটি টেপ-মোড়ানো পলিথিনের ভেতর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন আয়াতের স্বজনরা। তবে বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে একই এলাকা থেকে দুটি বিচ্ছিন্ন পায়ের অংশ পাওয়া গেলে পরে আয়াতের বাবা-মা ও স্বজনরা গিয়ে তাদের শনাক্ত করেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বলেন, সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্লুইস গেটের চারটি চেম্বারের পানি প্রবাহ বন্ধ করার পর একটি চেম্বারে আটকে থাকা পলিথিনের দুটি পা পাওয়া গেছে। আবিরের বর্ণনা অনুযায়ী পলিথিনের ভিতরে টেপ দিয়ে মোড়ানো।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানার মেয়ে চার বছর ১১ মাস বয়সী আলিনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হয়। ১০ দিন পর ২৪নভেম্বর পিবিআই আবির আলীকে গ্রেপ্তারের পর বলে যে আয়াতকে শ্বাসরোধ করে হ/ত্যা করা হয়েছে এবং লা/শটি ছয় টু/করো করে আবির। এরপর সা/গরে ভাসিয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজ হওয়ার পর হ/ত্যাকারীর তথ্য অনুযায়ী তদন্তের মাধ্যমে লাশের টুকরা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার লাশের টুকরা গুলো পাওয়া পর সেগুলো সনাক্ত করে তার শিশুটির পরিবারের সদস্যারা।