
বির্তকিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বিভিন্ন বিষয় প্রসঙ্গে তুলে ধরে অনেকের মতো তিনিও সামাজিক মাধ্যমে সরব থাকেন। রাজনৈতিক, ধর্মসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া তিনি তুলে ধরেন থাকেন। যুদিও ধর্মীয় প্রসঙ্গে বির্তকিত মন্তব্যের কারণে তিনি দেশ ছাড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন। এবার নিজের মা/রা যাওয়ার প্রসঙ্গে নিয়ে যা জানালেন বির্তকিত লেখিকা তসলিমা।
বাংলাদেশের বিতর্কিত ও নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন মা/রা গেছেন! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন! হ্যাঁ, তসলিমা নাসরিন আজ (শনিবার) বিকেলে তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ইংরেজিতে লিখেছেন, “আই ডাইড ইয়েস্টারডে”। যার অর্থ, “গতকাল আমি মা/রা গিয়েছিলাম”।
এর আগে, গত বছরের একই সময়ে (জানুয়ারি মা/সে) তসলিমা নাসরিন অভিযোগ করেছিলেন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক তাকে দুবার মৃ/ত ঘোষণা করেছিল। সে সময়, তিনি ভারতের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে বলেছিলেন যে সন্দেহভাজন জিহাদি সাইবার হা/মলার পর মাত্র দুই দিনের মধ্যে ফেসবুক তাকে দুবার মৃ/ত ঘোষণা করেছে বলে তিনি দেখেছেন। তিনি তখন বলেন, “আশ্চর্যের বিষয় হল জিহাদিরা বিপুল সংখ্যক। তারা আমাকে (ফেসবুকে) মৃ/ত রিপোর্ট করেছে। মর্মাহত তসলিমা বলেন, “ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম আমাকে মৃ/ত ঘোষণা করেছে আমি বেঁচে আছি নাকি মা/রা গেছি ক্রসচেক না ক/রেই! তবে, পরে তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরায় সক্রিয় করতে সক্ষম হন। তিনি তখন বলেছিলেন, “আমি মনে করি এটা জিহাদিরা এ/ই কাজ করিয়েছে। তারা আমাকে পছন্দ করে না। তারা আমার মৃ/ত্যু কামনা করে।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন ১৯৯৪ সাল থেকে ভারতে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার মৃ/ত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত না হয়েই তাকে মৃত ঘোষনার কারণে বিষয়টি শেয়ার করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বির্তকিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেন, কোনো কিছু যাচাই না করে এমন তথ্য প্রকাশ করায় তিনি মর্মাহত হয়েছিলেন।