আওয়ামী লীগ পায়ের আওয়াজ পেয়ে গেছে, ওই যে আসছে, ওই যে আসছে : মির্জা আব্বাস

নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিএনপি। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় বিএনপির আন্দোলনকে তারা ভয় পায় না। কিন্তু আন্দোলন প্রতিহত করতে সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে দলটির নেতাকর্মীর ওপর আক্রমন চালাচ্ছে এমন অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। আওয়ামীলীগের পতন সময়ের ব্যাপার মন্তব্য করে যা ইঙ্গিত দিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নড়েচড়ে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি আরও বলেন, এই পদযাত্রা আওয়ামী লীগের পতন যাত্রা। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে শোভাযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

“আওয়ামী লীগ কিন্তু পায়ের আওয়াজ পেয়ে গেছে। ওই যে আসছে, ওই যে আসছে। এরা কারা, তারা গণতন্ত্র চায়, ভোটের অধিকার চায়, ওরা এদেশের মানুষের অধিকার ফিরে চায়।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই অন্য কারো নির্দেশে নয়, গণতান্ত্রিক সরকারের নির্দেশে দেশ চলবে। এখন সরকার নেই, এখন অবৈধ দানব আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। এই দানবকে ঘাড় থেকে নামাতে হবে, এ/ই দানবকে ঘাড়ে রে/খে দেশের উন্নয়ন, দেশের মানুষের উ/ন্নয়ন সম্ভব নয়,।

বুধবার বিএনপির খালি করা ৬টি আসনে একযোগে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ভোটকেন্দ্রে কুকুর ঘুমাচ্ছে। পুলিশ আজ ভোটারদের ডাকছে কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে- এটাই এই সরকারের চিত্র।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজ আওয়ামী লীগ বলছে সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন হবে না। এই সংবিধান কেটে-ছিঁ/ড়ে আপনারা যা করেছেন; এই সংবিধানকে অবমাননা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী যৌথভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। তারা বলেছেন- এই মুহূর্তে দ/রকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার । আজকের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি আজীবন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান।

বিএনপি চিৎকার করলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায় দাবি করে তিনি বলেন, আমরা চুপ থাকলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায়। তারা বুঝতে পেরেছে যে তারা আর ক্ষমতায় নেই। তাই এই মুহূর্তে প্রয়োজন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তারা আমাদেরকে বিএনপি-জামায়াত বলে। আমি বলি আওয়ামী-জামায়াত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। কিন্তু প্রয়োজনের সময় তারা এত শক্ত হয়, তাদের মতো আর কেউ নেই। মানুষ এখন এই সরকারকে বিশ্বাস করে না। হাসিনা সরকার আগেই বলেছে- ঘরে ঘরে চাকরি দেব। এখন পরামর্শ দিচ্ছেন- ব্যবসা করুন।

পদযাত্রার আগে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছি, এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। ভোট চোরের বিচার হবে। আগের মতো আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দিনে আর রাতে ভোট দেওয়া যাবে না। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনিও জেলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন। আপনি ভুয়া, আপনার দলও ভুয়া।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের অনেক নেতাকর্মী জেলে গেছে। আমরা জেলে যেতে ভয় পাই না। আমরা আমাদের আন্দোলনে সফল হব। আমরা সুশৃঙ্খলভাবে আমাদের কর্মসূচি সম্পন্ন করব।

বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব, মীরা সরাফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ডাঃ রফিকুল ইসলাম, নবী উল্লাহ নবী, কাজী আবুল বাশার, রবিন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সেক্রেটারি আবদুল মোনায়েম মুন্না, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হঠানো এখন সময়ের ব্যাপার মন্তব্য করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আওয়ামীলী এখন ভয়ে আছে ক্ষমতা হারানোর্।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *