
আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দল বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে নির্দলীয় সরকারসহ ইস্যুতে আন্দোলন করছে। কিন্তু বিএনপির এই আন্দোলনকে প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আক্রমন চালাচ্ছে সরকার এমনটা অভিযোগ করছে দলটি। তবে সরকার পক্ষ থেকে এসব অস্বীকার করা হচ্ছে।আর এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে একটি সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। যা দেখে বিদেশী দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে যা জানালেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড।
বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ন্যাথালি চুয়ার্ড। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নাতালি চুয়ার্ড বলেন, আমি আশা করি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সংকেত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের সম্পর্ক ৫০ বছর ধরে চলছে। আমরা সবসময় বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হতে চাই। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০২৫ সালের জন্য বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে, আমরা তার সঙ্গে আছি।
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিনিয়োগ বাড়ছে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরও স্বচ্ছতা দেখানো হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখানে সব সময় স্বচ্ছতা দেখি। সকল আন্তর্জাতিক নিয়ম এবং OECD (অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) নিয়ম মেনে অ্যাকাউন্ট খোলা এবং অর্থ জমা করে যে কেউ। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।
বাংলাদেশ সরকার এবং বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত নাটালি চুয়ার্ড বলেন, আমার এখনো অনেক প্রস্তাব টেবিলে আছে। এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। সরকারের কাছ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। আমরা যথাযথভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সুইজারল্যান্ডের কোনো পর্যবেক্ষণ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নাটালি বলেন, আমি তিন বছর ধরে এখানে (ঢাকায়) আছি। এ সময় আমি এখানকার স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। এখানে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের অংশীদারিত্ব রয়েছে। তাই আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকারের প্রতি সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখি। কারণ এটা আমাদের ডিএনএতে আছে, এটা সুইস সংবিধানে আছে।
প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এমনটায় প্রত্যাশা করেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড। তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ন।