আরও কিছুদিন সময় লাগবে, এখনও গোছানোর আছে অনেককিছু : তিশা

হালের আলোচিত অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ করে ইতিমধ্যে মিডিয়া জগতে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন তিনি। ‍যদিও অভিনয়ে নিয়মত নয় তিনি পারবারিক ব্যস্ততার জন্য মিডিয়া থেকে দূরে রয়েছেন তিনি। একমাত্র মেয়ের প্রসঙ্গ তুলে যা বললেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ৫ জানুয়ারী, ২০২২-এ তিনি তার প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। এরপর তিনি সন্তান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মাত্র ২-৩টি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করলেও এখনো বড় কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হননি তিনি।

নাটক-সিনেমার অনেক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। ওটিটিতেও কিছু দুর্দান্ত কাজের অফার রয়েছে৷ কিন্তু মেয়ের জন্য সবকিছু ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।

গত মাসে মা হওয়ার বর্ষপূতি হয়েছে তিশার। মেয়ের বয়স যত বাড়ছে, তার সঙ্গে ব্যস্ততাও কমছে তার। তাই ফের ফেরার কথা ভাবছেন এই অভিনেত্রী।

তবে তিনি বলেন, ‘আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এখনও গোছানোর আছে অনেককিছু। মা হিসেবে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এদিকে, প্রযোজক মোস্তফা সারায়ার ফারুকীর নতুন একটি ওয়েব সিরিজে তিশার অভিনয় করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা একেবারেই গুজব। আমি এখনো কোনো বড় কাজ শুরু করিনি। মাঝে কিছু বিজ্ঞাপনের কাজ করেছি। এটাই ছিল কাছের মানুষদের টিম, তাই করা। হয়তো মার্চে কিছু কাজ করব।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে ইলহাম নুসরাত ফারুকী মাত্র এক বছর পূর্ণ করেছে। আমি তাকে আরও সময় দিতে চাই। তাই এই মুহূর্তে নিজেকে নিয়মিত কাজে জড়াতে পারছি না। আমি চাই না মেয়েটি আমার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হোক।’

সম্প্রতি একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ‘চপস্টিক’ ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিশা। ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন তিনি। এর টিভিসিতেও অংশ নেন অভিনেত্রী।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন ফারুকী ও তিশা। এক যুগের বেশি দাম্পত্য জীবনের পর গত বছরের ৫ জানুয়ারি এক কন্যাসন্তানের বাবা-মা হন তারা। সন্তানের নাম রাখা হয়েছে ইলহাম নুসরাত ফারুকী।

প্রসঙ্গত, অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে নিজের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেন অভিনেত্রী তিশা। তিনি বলেন, সম্প্রতি হয়ত তার অভিনয়ের ফেরা হবে না কারণ মেয়েকে রেখে এই মুহূর্তে কাজ করা সম্ভব নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *