আলিয়ার ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস, ভিন্ন ইঙ্গিত দিলেন স্বামী রণবীর

বলিউড আলোচিত জুটি রণবীর-আলিয়া। ইতিমধ্যে সাংসারিক জীবনে তাদের ঘরে এসেছে একটি মেয়ে সন্তান। যদি সন্তানকে প্রকাশ্যে আনতে নারাজ তারা নিদিষ্ট সময়ের পরে সন্তানকে আনার কথা জানিয়েছে তার এবং গণমাধ্যমকে মেয়ের ছবি না তোলার অনুরোধও করেছেন। তবে হঠাৎ করে অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ কেন্দ্র করে যা বললেন স্বামী রণবীর কাপুর।

সম্প্রতি আলিয়ার ব্যক্তিগত ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ আলিয়া ভাট ও তার স্বামী রণবীর কাপুর। এ নিয়ে মুখ খুললেন রণবীর। এছাড়া আলেয়ার পাশে অনেকেই দাঁড়িয়েছেন। আনন্দবাজারের খবর।

রণবীর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তিনি এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। তার মেয়ের ছবি মিডিয়ায় প্রকাশ না করারও অনুরোধ করেন তিনি।

দুদিন আগে বেডরুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন বলিউড সেনসেশন আলিয়া ভাট। পাশের বাড়ির ছাদ থেকে দুজন লোক ক্যামেরা তাক করে ছবি তোলেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নজরে আসেন আলিয়ার। এতে ক্ষিপ্ত হন রণবীর ঘরনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিনেত্রী লিখেছেন—এটা কী রকম রসিকতা! আমি আমার বাড়িতে খুব স্বাভাবিক সময় কাটাচ্ছিলাম। বসার ঘরে যেতেই মনে হলো কেউ নজরদারি করছেন আমার ওপর। আমি দেখলাম আমার প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে দুজন লোক উঠে আমার দিকে ক্যামেরা তাক করছে!

আলিয়া জানান, দুপুরে যখন তিনি একা একা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, তখন পাশের বাড়ির ছাদ থেকে দুজন লোক তার ঘরের দিকে ক্যামেরা তাক করে রেখেছিলেন। অভিনেত্রীর অসতর্ক মুহূর্তের ছবি ধরে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তি তা ছড়িয়ে দেন।

এখানেই শেষ নয়, আলিয়া আরও লেখেন- কোন দুনিয়ায় এটাকে সঠিক বলে মনে করা হয়? এ ধরনের কাজের অনুমতি কোথায়? এটা কারো গোপনীয়তায় সরাসরি হস্তক্ষেপ! সবকিছুরই একটা সীমা আছে, যা অতিক্রম করা উচিত নয়। ওরা সব পার করেছে! অভিনেত্রী তার পোস্টে মুম্বাই পুলিশকে ট্যাগ করে সাহায্য চেয়েছিলেন।

আলিয়াকে মুম্বাই পুলিশ লিখিত অভিযোগ করতে বলেছে। ছিমছাম ছবিতে, আলিয়াকে বাড়ির পোশাকে বসার ঘরে বসে থাকতে দেখা যায়। ছবি তোলার জন্য একটি জুম লেন্স ব্যবহার করা হয়।

প্রসঙ্গত, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ করায় ক্ষদ্ধ প্রকাশ করেন অভিনেত্র আলিয়া। তিনি এমনকাণ্ডে বিব্রত প্রকাশ করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *