
সম্প্রতি তারকারদের রাজনীতিতে আসাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। বাস্তব জীবনে যাদের ব্যক্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে তারা যদি হঠাৎ করেই জনসেবকের ভূমিকায় আসে চায় তাহলে তো অবাক হওয়াট স্বাভাবিক।তেমন একজন ব্যক্তিগত হচ্ছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি যিনি হঠাৎ করেই নেত্রী হয়ে উঠেছেন। বিষয়টি নিয়ে সা/মাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ/কটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লে/খিকা মিলি সুলতানা পা/ঠকদের জন্য হুবহু নি/চে দেওয়া হলো।
“চোরের সাক্ষী মাতবর”- এই কথাটার মর্মকথা আজ আবার ফিরে পেলাম যুবসমাজ গড়ার কারিগর, যুবসমাজকে দুর্দান্ত গতিতে উপরে তোলা এবং যৌন নাশকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো একমাত্র লৌহমানবী পরীমণির ফেসবুক পোস্ট দেখে। পরীমণি টুনটুনমণি আজ আওয়াজ তুলেছেন রাজপথ কাঁপানো মিছিলের অগ্রভাগে থাকা, পুলিশের টিয়ারগ্যাস রাবার বুলেটের শিকার এবং ২১ আগস্টের নারকীয় নৃশংস গ্রেনেড হামলায় জরাজীর্ণ হওয়া ত্যাগী নেত্রী এবং ভবিষ্যত সংসদ সদস্য বেগম মাহিয়া মাহীর গ্রেফতার প্রসঙ্গে পরীমণির আন্দোলন বিনোদিত করেছে জনসাধারণকে। মাহিয়া মাহীর অডাসিটি ছিল যে তিনি গাজীপুরের সর্বোচ্চ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তিনি প্রমাণ করতে পারেননি। নতিজাস্বরুপ দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করা হল। কিন্তু তার “দ্রুততম জামিন” নিয়ে অবগত ছিলাম আমরা। প্রেগন্যান্সির ফায়দা পরীমণিও নিয়েছিলেন। আজ নিলেন মাহিয়া মাহী। উঁচা পেটের ফায়দা নিতে গিয়ে মাহী ছিলেন সাবলীল। তাই মাহীর “জাত বোন” পরীমণি মানুষকে পুরনো প্রবাদটির কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। আমাদের নেতিয়ে পড়া যুবসমাজের সফল সংস্ককারক হিসেবে টুনটুনমণি (পরীমণি) এবং ঝুনঝুনমণির (মাহিয়া মাহী) আইকনিক অবদান জাতি গর্বের সাথে স্মরণ করবে।
স্ত্রীর রুপ যৌবনকে ব্যবসায় মুলধন হিসেবে ব্যবহার করার নজির আমাদের সমাজে আছে ভুরিভুরি। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির স্পাইনলেস স্বামী রকিব সরকার মাহিকে বিয়ের পর শুধু লাভে লাভ গুণছেন। মাহির প্লাস্টিকসদৃশ সৌন্দর্য দিয়ে কাড়িকাড়ি টাকা কামানোর পুরাতন ধান্ধা রকিব সরকারের। মাহিয়া মাহীকে নিয়ে আমি আমার পুরাতন পোস্টে বলেছিলাম, কি একটা অদ্ভুত নেশা চড়েছে আমাদের দেশের অভিনেত্রীদের মধ্যে। তারা রাজনৈতিক নেত্রী হতে চান!! মাহি হয়ত ভেবেছেন মাথার উপর একটা ঘোমটা চড়িয়ে দিয়ে ভুরিভুরি ফটো খিঁচালেই নেত্রী হতে পারবেন। আমাদের কিংবদন্তি কবরীর মত ঝানু অভিনেত্রীকে প্রচুর ঝড়-ঝঞ্ঝা পাড়ি দিতে হয়েছে। কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কবরীকে বহু মানসিক শক্তি বিসর্জন দিতে হয়েছিল। যদিও রাজনীতিতে কবরী সফল হননি কিন্তু তাঁর ইনটেনশান ভালো ছিল। মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। মাহী আপনমনে নিজেকে ভারতের রেখা হেমা মালিনী জয়াপ্রদা শাবানা আজমী নাগমা ঊর্মিলা মাতোন্দকারদের মত ভাবছেন। ভারতীয় তারকারা অভিনয় জীবনে যেমন সফল তেমনি রাজনৈতিক জীবনেও সফল। কিন্তু আমাদের দেশের মাহিয়া মাহিদের মত বিতর্কিত ললনাদের রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যের কথা মানুষের অজানা নয়।
সবাই জানে দীর্ঘদিন টাকলা মুরাদের প্রমোদসঙ্গিনী ছিলেন মাহিয়া মাহি। টাকলা মুরাদের অশ্রাব্য অশ্লীল শব্দোচ্চারণে ভরপুর অডিও টেপটি শুনলে মনে হয় কানের ভেতর কেউ তেজাব (অ্যাসিড) ঢেলে দিয়েছে। এমন নোংরা ব্যক্তিও সমাজের নেতৃত্ব দিতে পারেন কিভাবে? সেই অডিও টেপ শোনার পর থেকে প্রভুভক্ত ডগি অভিনেতা ইমনের চেহারা দেখলে তরল পদার্থে মুখগহ্বর পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ইমন নামের এই ধব্জভঙ্গ অভিনেতা মুরাদ মাহি ইভেন্টের সঞ্চালক হিসেবে নিবেদিত ছিলেন। কিন্তু মাহির সমাজসেবা উদ্বেগজনকহারে বেড়ে গেছে। রকিব সরকার অঙ্ক কষেছেন গভীর চিন্তাভাবনা করে। গতবছর মাহিকে রাজনৈতিক নেত্রীর ট্রেনিং দিয়ে রাজনীতিতে নামিয়ে দিয়েছেন। একবার তো এমন মনে হচ্ছিলো এই বুঝি মাহিয়া মাহি মাথায় ঘোমটা চড়িয়ে সংসদে ঢুকে পড়লেন বলে। মানুষকে সাহায্য করার ভং ধরে ফেসবুক উথালপাথাল করে ছেড়েছেন এই ধাপ্পাবাজ জুটি। গ্রেফতারের কয়েকঘন্টা পর জামিন পেয়ে মাহী আজ দেখিয়ে দিলেন তার রহস্যময় ক্ষিপ্রতার এক ঝলক।
প্রসঙ্গত, হঠাৎ করেই অভিনেত্রী মাহিকে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা যায় শুধ তাই নয় নিজেকে নেত্রী ভাবা শুরু করেছেন তিনি মন্তব্য করেন লেখিবা মিলি সুলতানা। তিনি বলেন, এমন একজন অভিনেত্রী যদি সমাজসেবক হন তাহলে রাজনীতি কোথায় পৌছাবে।