
সম্প্রতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে সরব হচ্ছে। বিরোধী দল বিএনপি নির্দলীয় সরকারসহ নানা ইস্যুতে সরকারে বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। যদিও দীর্ঘ ধরে আন্দোলনের কথা বললেও বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। তবে সম্প্রতি বিএনপির আন্দোলন চিন্তায় ফেলে দেয় সরকারকে। যার কারণে বিএনপির আন্দোলন প্রতিহত করতে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে হা/মলা মামলা গ্রেফতার চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকার সভা-িসমাবেশের করার সুযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেয়। এবার যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচন ও কূটনৈতিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত প্রসঙ্গে যা বললো পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারমেন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ওয়েন্ডি শারম্যান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের কূটনীতিক ও দূতাবাসের কর্মীদের পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ১৪ ডিসেম্বর ঢাকার শা/হীনবাগে মায়ের ডাক নামের একটি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান। সে সময় মায়ের কান্না নামে আরেকটি সংগঠন তার সঙ্গে দেখা করতে চায়। রাষ্ট্রদূত দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যান। পরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্গিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তার কথা নিয়ে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডে/পুটি সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারমেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।