এবার মেয়েকে নিয়ে আসিফের ভিন্ন স্ট্যাটাস, মুহুর্তেই সাড়া ফেলল নেটদুনিয়ায়

বাংলা গানের ভুবনের আলোচিত কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে ভক্ত ও দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। শুধু গান নয় ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে প্রায় আলোচনা থাকেন তিনি। এবার ব্যক্তিগত জীবনে মেয়ের প্রসঙ্গে তুলে যা বললেন আসিফ আকবর।

নয় মাস বয়সী আইদাহ্ এখন তার বাবাকে চিনতে পেরেছে। একটু কাশি দিলেও অজানা দুশ্চিন্তায় চোখ বড় বড় হয়ে যায়। ভাড়া বাড়িতে থাকি, বাড়িওয়ালার নোটিশের কারণে আমাকে ফ্ল্যাট পরিবর্তন করতে হয়েছে। ঘর বদলানোর ইস্যুতে ধুলোর পয়জনে বেগমেরও কা/শি হয়ে গেছে। আইদাহ্ কাশি শুনে সন্দিগ্ধ হয়ে যায়। আজকাল শিশুদের মস্তিষ্ক যেন প্রোগ্রাম করা, খুবই সংবেদনশীল।

কিংবদন্তি সলিল চৌধুরী ছোটদের গান তৈরি করেছেন- বুলবুল পাখি ম/য়না টিয়ে, আ/য়না যা না গা/ন শুনিয়ে। ছোটবেলায় অন্তরা চৌধুরীর গাওয়া গানটি শুনেছি। আমার মেয়ে এই গানে সম্পূর্ণ আসক্ত।

বেগমের ছোটবেলার প্রিয় গান এখন মেয়ের মধ্যে সংক্রমিত। আমিও আমার মেয়েকে খুশি রাখতে গানটি তুলেছি। আমি যখন গান করি তখন আইদাহ্ খুব খুশি হয়, আমি গানে পাখির গান এবং সংগীত দিতে পারি না, সে এটি পছন্দ করে। লাইভ অডিওতে আইদাহ বিরক্ত হয়ে ওঠে, তার ছোট্ট হাত দিয়ে মুখ থাবা দেয়। বুঝলাম – গোঞ্জামিল দিন শেষ। কাস্টম মেড প্রজন্মকে জাপানি মুলা দেখানোর সুযোগ নেই।

কয়েকদিন আগের ক/থা- দশ মিনিটেও হয়নি আইদাহকে ঘুম পাড়িয়ে ছিলাম! টরন্টোতে ভিডিও কলে বড় ছেলে শাফকাতের সঙ্গে কথা হচ্ছে, সকাল এখানে, সন্ধ্যা সেখানে। বড় ভাইয়ের কন্ঠস্বর শুনে আইদাহ জেগে ওঠে, ভাইয়ের সাথে দি/ব্যিহা হা হি হি করলো। আমিও সাবধান হলাম, বাচ্চাদের খারাপ কিছু বলা যাবে না।

বাংলাদেশের সমাজ রাজনীতি পরিবারে সর্বত্র মিথ্যাচার এখন সর্বগ্রাসী শিল্প। শিশুরা এসব মিথ্যাচারে বিরক্ত হয়ে থাবা শুরু করেছে। আসুন নিয়মিত মিথ্যাবাদী থেকে সাবধান হই। সতর্কতার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমি এখন শুদ্ধ শিখছি- বুলবুল পাখী ম/য়না টিয়ে, আ/য় না যা না গান শুনিয়ে।
ভালোবাসা অফুরন্ত…’

প্রসঙ্গত, একমাত্র মেয়ের বেড়ে উঠার প্রসঙ্গ তুলে তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা শেয়ার করেছেন গায়ক আসিফ আকবর। তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের বাচ্চাদের বেড়ে উঠার বিষয়টি এখন আগের মতন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *