ছেলের পর ফের আইনি জটিলতায় বিপাকে শাহরুখ পত্নী

বলিউড সিনেমার আলোচিত দম্পতি শাহরুখ-গৌরী। এই দম্পতিকে অনেকে আদর্শ হিসেবে দেখে থাকেন। এমনিতেই শাহরুখের পরিবারের প্রতি ভক্ত ও অনুরাগীদের কৌতুহলের শেষ নেই। তাদের জীবন যাপনসহ নানা বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন অনেক ভক্তরা। এবার হঠাৎ করেই কিং খানের পত্নী গৌরি খানের আইন জটিলতায় পড়ার প্রসঙ্গে যে তথ্য জানা গেল।

শাহরুখ খানের পরিবার আবারও আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে। এবার আইনি ঝামেলায় শাহরুখের স্ত্রী গৌরী খান। মোটা অংকের টাকা পরিশোধ করেও নির্ধারিত সময়ে ফ্ল্যাট না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মুম্বইয়ের বাসিন্দা যশবন্ত শাহ গৌরী খানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে মামলা করেছিলেন। যশবন্ত লখনউয়ের সুশান্ত গল্ফ সিটি থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন।

৮৬ লাখ টাকা দিয়েও ফ্ল্যাট পাননি বলে অভিযোগ করেন যশবন্ত। যশবন্তের দায়ের করা এফআইআর-এ গৌরী খান ছাড়াও তুলসিয়ানি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের দুই শীর্ষ ক/র্মকর্থা অনিল তুলসিয়ানি এবং মহেশ তুলসিয়ানির নাম রয়েছে।

যশবন্তের অভিযোগ, তিনি তাদের কোম্পানির কাছ থেকে ৮৬ লাখ টাকায় ফ্ল্যাটটি কিনেছেন। নির্ধারিত সময়ের পরও ফ্ল্যাটের চাবি পাননি। তাই তিনি বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের করেন।

শাহরুখ-পত্নী গৌরী খান তুলসিয়ানি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রধান মুখ বা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। যশবন্ত তাকে দেখে মুগ্ধ হন এবং সেই কোম্পানি থেকে একটি ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নেন। যশবন্ত দাবি করেছেন যে এই বিশ্বাসভঙ্গের দায় গৌরির উপর পড়ে কারণ তিনি সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। তাই তিনি গৌরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর আগে তুলসিয়ানি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন গৌরী খান। তবে সম্প্রতি ওই কোম্পানির সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ বা চুক্তি আছে কিনা তা জানা যায়নি। এর আগে শাহরুখের ছেলে আরিয়ান খান মা/দক সংক্রান্ত মামলায় জড়িয়েছিলেন। যদিও পরে আরিয়ান বেকসুর খালাস পান। ওই ঘটনার পর আবারও আইনি জটিলতায় পড়ে খান পরিবার।

প্রসঙ্গত, ওই ফ্লাট ক্রেতার দাবি তার সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পিরিয়ে গেলেও তাকে তার ফ্লাট বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *