
সম্প্রতি বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান নিয়ে বিদেশী কূটনৈতিকর যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। কূটনৈতিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে করার সুযোগ দেওয়া না হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হু/মকির মুখে পড়বে। সামনের নির্বাচন ও দেশের মানবাধিকার প্রসঙ্গে তারা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। পরে হঠাৎ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অনাকাঙ্গিত ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার সম্পর্কে মন্তব্য করে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, পুলিশ বাহিনী দেশপ্রেম ও বীরত্বের সঙ্গে কাজ করছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ম না মানলে জবাব দিতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “আমরা রাষ্ট্রদূতদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েছি। বিশেষ দূতদের বাড়তি নজরদারিতে রাখা হয়ে থাকে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার বি/ঘ্নিত হয়েছে বলে আমি মনে করি না। হয়তো ভুল বোঝাবুঝির জায়গা থেকে তিনি বলেছেন। এমন কিছু ছিল না যা নিরাপত্তার বিঘ্নিত হওয়ার মত।”
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরের সিএন্ডবি মোড়ে ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর শাহীনবাগে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সেখানে যাওয়ার পর বাড়ির সামনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের ব্যানার হাতে কয়েকজন লো/ক অবস্থান নেন। তারা বিচারের নামে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যক্তিদের হ/ত্যার অভিযোগ আনেন।
১৯৭৭ সালে, সেই ঘ/টনার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর বাড়িতে যেতে অনুরোধ করেছিল। সংগঠনটি বলেছে যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সে বিষয়ে সাড়া দেননি। সে সময় পিটার ডি হাসকে “নিরাপত্তার কারণে” চলে যেতে বাধ্য হতে হয়। পরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ঘটনাটি আমার নির্বাচনী এলাকায় হয়েছে। আমরা জানতাম না তিনি একটি বাড়িতে যাবেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বি/ষয়টি জানাজানি হয়েছে। কিন্তু আমরা তা জানতাম না। সেদিনের ঘটনা জানার পর পুলিশ রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। তার আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঝামেলা না হয় সেজন্য পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল।”
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের সংবিধান আছে; আমরা তা মেনে চলছি। কোথাও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয় উল্লেখ নাই। সেহেতু, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো প্রশ্নই আসে না। আর বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, এটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। আমরা এটাই চাই।”
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, পুলিশ বাহিনী দেশপ্রেম ও বীরত্বের সঙ্গে কাজ করছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ম না মানলে জবাব দিতে হবে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-শিবির বলে কিছু নেই। দেশে অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা রাজনীতি করেন তাদের উচিত রাজনীতির আদর্শ অনুসরণ করা। এর বাইরে কিছু করলে তাদের জবাব দিতে হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান, ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ আবদুল বাতেন, জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সে একটা ভুল বুঝাবুঝি বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খা বাহিনী তাদের নিরপত্তার বিষয়ে সব সময় কঠোর রাখে।