
সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর বুয়েট ছাত্র ফারদিনের ম/রদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার মরদেহ সনাক্ত করে চিকিৎসক জানান তাকে হ/ত্যা করা হয়েছে। তার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। হ/ত্যাণ্ডের ঘটনার বিষয়টি নিয়ে মামলা করেন ফারদিনের বাবা। পরে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশসহ আরও কয়েকটি নিরাপত্তা সংস্থা। দীর্ঘ তনন্তের শেষে (ডিবি) পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ফারদিনকে হত্যা করা হয়নি সে আ/ত্মহত্যা করেছে। পুলিশের এমন তথ্য প্রসঙ্গ নিয়ে যা জানালেন ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা।
বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর পরশ আ/ত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা বলছেন, তদন্তে জানা গেছে, ফারদিন গভীর রাতে শীতলক্ষ্যায় ঝা/প দিয়ে আ/ত্মহত্যা করেছেন।
তবে পুলিশ ও র্যাবের এই বক্তব্য মানতে পারছেন না ফারদিনের বাবা সাংবাদিক কাজী নূরউদ্দিন রানা। তিনি বলেন, যে তথ্যের ভিত্তিতে আ/ত্মহত্যার কথা বলা হচ্ছে তার সঙ্গে তিনি একমত নন।
৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হওয়ার পর গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল থেকে বুয়েট ছাত্র ফারদিনের (২৪) লা/শ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানান, ফারদিনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, সে হ/ত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
এরপর ফারদিনের বাবা হ/ত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ। র্যাবও ছায়া তদন্ত করছে।
তদন্তের গতিতে ফারদিনের পরিবার ও সহপাঠীরা অসন্তুষ্ট হওয়ার ৪০ দিন পর বুধবার র্যাব-ডিবি পৃথকভাবে সাংবাদিকদের জানায়, নিখোঁজ হওয়ার রাতে ওই যুবক ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ জানান, পরীক্ষার ফলাফল খারাপ এবং বিদেশে যাওয়ার আর্থিক সংস্থান না হ/ওয়ার কারণে হতাশা থেকে এই তরুণ আ/ত্মহত্যা করেছেন।
ফারদিনের বাবার দাবি, ছেলের আ/ত্মহত্যার কোনো কারণ নেই। তার আ/ত্মহত্যার পেছনের যুক্তি সঠিক নয়।
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন তার পরিবারের সঙ্গে ঢাকার ডেমরার কোনপাড়ায় থাকতেন। এ বছর স্পেনে একটি অনুষ্ঠানে বিতার্কিক হিসেবে যাওয়ার কথা ছিল তার।
ফারদিন ৪ নভেম্বর দুপুরে কোনপাড়ার বাসা থেকে বের হয়; পরদিন পরীক্ষা থাকায় রাতে বুয়েটের হলে থাকবেন বলে জানান তিনি। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরবেন।
ওই দিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমতুল্লাহ বুশরা নামের এক বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন তিনি। ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বুশরা পুলিশকে জানান, সেদিন তিনি ফারদিনের মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখেননি।
তাকে উদ্ধৃত করে ডিবি কর্মকর্তা হারুন এর আগে বলেছিলেন, বুশরার বক্তব্য ছিল যতক্ষণ তারা একসঙ্গে ছিলেন, ফারদিন স্বাভাবিক ছিলেন। তারা রেস্টুরেন্টে খেয়েছে এবং নিজেদের বিল পরিশোধ করেছে। তাকে রামপুরায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায় ফারদিন।
তার সহপাঠীরা র্যাব-পুলিশের তদন্ত মানতে রাজি হয়নি। এর প্রতিবাদে তারা কর্মসূচিও ডেকেছে।
প্রসঙ্গত, পুলিশের দাবি ফারদিন আ/ত্মহত্যা করেছেন কিন্তু ঘটনার সঙ্গে এমন কারণ জড়িত নয় মন্তব্য করেন ফারদিনের বাবা। তিনি বলেন, চিকিৎসকের তথ্য অনুযায়ী তাকে হ/ত্যা করা হয়েছে কিন্তু পুলিশের ভিন্ন কথা বলছে।