
ফের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয় নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জানা হয়েছিল আগেই। তবে এ বিষয় গ্রাহকদের ওপর চাপ না বাড়ে সে বিষয়টি মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। তাছাড়া বিদ্যুৎ দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে নানা মহলে থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কিন্তু সে সব বিষয় বিবেচনা না করেই আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ালো সরকার।
সরকার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এক নির্বাহী আদেশে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে গত রোববার (৮ জানুয়ারি) ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ওইদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান মিলনায়তনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল জানুয়ারির মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে সরকার জনগণের মতামত বিবেচনা করে যে কোনো সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয় করতে পারে। সম্প্রতি মন্ত্রিসভা এ ধরনের বিধান যুক্ত করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) নবনিযুক্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিইআরসি ৯০ দিনের মেয়াদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণ করে। তবে, মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবিত সংশোধনীর অনুমোদন দিয়েছে যাতে সরকারও বিশেষ পরিস্থিতিতে এটি নির্ধারণ করতে পারে। এটি ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে একটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে। তবে ওই সময় জাতীয় সংসদ অধিবেশন না থাকায় আইনটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সংসদ অধিবেশন চলছে। তাই নিয়ম অনুযায়ী আইনটি সংসদে উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওইদিন পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা। পয়সা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) পাইকারি দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) পর্যালোচনা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম ঘোষণা করেছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফের বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হরে সমস্যায় পড়বে সাধারন গ্রাহক বলে মন্তব্য করে বিভিন্ন মহল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে গ্রাহকের কথা মাথায় রেখেই দাম বাড়ানো হয়।