
দেশের জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পূর্নান্ধার লক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে বিএনপি। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে সরকারকে এমনটায় বলা হচ্ছে দলটির পক্ষ থেকে।সরকার বিএপির আন্দোলনের ভয়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের ওপর আ/ক্রমন করছে বলে অভিযোগ করছে দলটি। বিএনপির আন্দোলনে ভয়ে পেছেয়ে মন্তব্য করে যা বললেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গণআন্দোলনে দিশেহারা সরকার যেকোনো উপায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।
দলের সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু গতকাল জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরপরই কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের গেট থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আবারও আটক করে রমনা থানায় নিয়ে যায়। শারীরিকভাবে অসুস্থ মীর সরফত আলী সপুকে রমনা থানা থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও যথাযথ চিকিৎসা না করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, সব মামলায় জামিন পেয়ে মীর সরফত আলী সপুকে আবারও জেল থেকে গ্রেপ্তার করা সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
মীর সরফত আলী সপুকে কারাগার থেকে পুনরায় গ্রেফতার করে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও যথাযথ চিকিৎসা না করে থানায় নিয়ে যাওয়ায় মির্জা ফখরুল তীব্র প্রতিবাদ জানান। মীর সরফত আলী সাপুরকে হাসপাতালে ভর্তি করে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করারও দাবি জানান তিনি।
একইসঙ্গে মীর সরফত আলী সাপুরের নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব
প্রসঙ্গত, সরকার আন্দোলনের ভয়ে ভীত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীর আটক করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এমন জগঘ্য কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।