
নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে তিনি শারীরিক ভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। তার দাবি চিকিৎসকের ভুল অপারেশনের কারণে তিনি এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ‘চিকিৎসা অপরাধের’ শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন।। তিনি অভিযোগ করেন যে দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে হাঁটুর ব্যথার চিকিৎসা করতে গিয়ে শারীরিক অক্ষমতা কি/নতে বাধ্য হয়েছেন । মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) তসলিমা তার অফিসিয়াল পেজে একাধিক টুইট বার্তায় অসদাচরণ ও ভুল চি/কিৎসার অভিযোগ করেন।
অভিযোগ করে তসলিমা নাসরিন বলেন, অ্যাপোলো হাসপাতালের ডাঃ ইয়াতিন্দর খারবান্দা তার হিপ ফ্র্যাকচারের ভু/ল চিকিৎসা করে তা/কে সম্পূর্ণ হিপ প্রতিস্থাপন করতে বাধ্য করেন। তার হিপ ফ্র্যাকচারের চিকিৎসা করার আগে ডাক্তার নাসরিনকে কোনো এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান দেখাননি। ১৩ জানুয়ারি রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ১৪ জানুয়ারি সকালে তার অপারেশন করা হয়।
তসলিমা টুইট করেছেন যে আমি হাঁটুর ব্যথার জন্য অ্যাপোলোতে ছিলাম। ডাঃ ইয়াতিন্দর খারবান্দা আমাকে বলেছিলেন যে হিপ ফ্র্যাকচার হয়েছে, কিন্তু আমাকে কোনো এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান রিপোর্ট দেখাননি।
তিনি বলেন, “সমস্যা সমাধানের জন্য আমি ১৩ই জানুয়ারী গভীর রাতে ভর্তি হয়েছিলাম, কিন্তু ১৪ জানুয়ারি সকালে তিনি আমাকে সম্পূর্ণ হিপ প্রতিস্থাপন করতে বাধ্য করেন।” যাইহোক, তসলিমা পরে অভিযোগ করেন যে কোনও হিপ ফ্র্যাকচার পাওয়া যায়নি এবং একটি ভুল ডিসচার্জ রিপোর্ট করা হয়েছিল।
নির্বাসিত এই লেখিকা বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলার শিকার হয়েছি। হাসপাতালে, আমাকে একজন লেখক বা ডাক্তার হিসাবে নয়, একজন ‘বাংলাদেশী রোগী’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না যে বড় ডাক্তাররাও এমন জঘন্য অপরাধ করতে পারে।
তার অভিযোগ, গত ১ জানুয়ারিও আমি সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক, দৌড়াদৌড়ি করছি। কিন্তু ডা. খারবান্দার ভুল চিকিৎসার কারণে আমি এখন হাঁটতেও পাচ্ছি না।
প্রসঙ্গত, ডাক্তারের ভুলের কারণে আজ আমার শারীরিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নির্বাসিত তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেন, তার সঙ্গে চিকিৎসার নামে ক্রাইম করেছে।