
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ জোর করে ক্ষমতায় থেকে দেশের মানুষের মধ্যে বৈষম্যের দিয়াল তৈরী করেছে। যার দেশের জন্য যু/দ্ধ করে অর্থ উপার্জন করছে তাদের ভিন্ন কৌশলে ঠকিয়ে যাচ্ছে সরকার। অথচ এ বিষয় নিয়ে কারর প্রতিবাদ নেই। কারণ সরকার দেশে নৈরাজ্যের রাজত্ব কায়েম করেছে। কেউ প্রতিবাদ করছে তাদের রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে দমন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
যারা দেশে থেকে ডলার আয় করে রিজার্ভ সমৃদ্ধ করছেন-তাদের সঙ্গে খুবই অন্যায় করছে বাংলাদেশ ব্যাংক-সরকার।ফ্রিল্যান্সার ও ফেসবুক, ইউটিউব থেকে যারা ডলার আয় করছেন, তাদের ডলারের বিনিময় মূল্য দেয়া হচ্ছে ১০২ টাকা।একই ঘটনা ঘটছে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রেও। ফ্রিল্যান্সারদের ৪ শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েও দেয়া হচ্ছে না।প্রণোদনা পেতে সমস্যায় পড়ছেন মেরিন ইঞ্জিনিয়াররাও।আর ফেসবুক,ইউটিউব থেকে যারা ডলার আনছেন, তারা তো প্রণোদনার হিসেবেই নেই।অথচ ফ্রিল্যান্সার,ফেসবুক,ইউটিউব থেকে আয়কারী ও মেরিন ইঞ্জিনিয়াররা ব্যাংকিং চ্যানেলে বছরে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার দেশে আনছেন।প্রবাসীদের জন্যে ডলার রেট ১০৬ বা ১০৭ টাকা,সঙ্গে প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ।অন্যদের জন্যে ডলার রেট ১০২ টাকা,কোনো প্রণোদনা নেই।রপ্তানিকারকরাও পাচ্ছেন ১০২ টাকা,সঙ্গে প্রণোদনা।
ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে ডলার রেট ১১২-১১৪ টাকা। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার পাঠিয়ে প্রতি ডলারে বঞ্চিত হচ্ছেন ৪-৫ টাকা,অন্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতি ডলারে ১০-১২ টাকা।চিন্তা করেন, কী ভয়ঙ্কর বৈষম্যমূলক ডলার নীতি। সবাই আয় করছেন ডলার,অথচ রেট একেক জনের জন্যে একেক রকম।বঞ্চিত করা হচ্ছে সবাইকে।
যার হুন্ডি বা অন্য কোনো সুযোগ আছে, তিনি তাহলে কেনো ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার পাঠাতে আগ্রহী হবেন?বাংলাদেশে ডলার সংকটের একটা বড় কারণ এই বৈষম্যমূলক ডলার নীতি।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় থেকে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে ফেলেছে আর যারা দেশের জন্য কাজ করছে তাদের ভিন্ন কৌশলে ঠকিয়ে যাচ্ছে সরকার মন্তব্য করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা। তিনি বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এমন সংকট সৃষ্টি হয়েছে।