
বর্তমান সময়ের আলোচিত তারকা জুটি রাজ-পরীমনি। বিয়ের প্রথমে থেকেই তারা একের এক কাণ্ড ঘটিয়ে আলোচনায় ছিলেন বছর জুড়ে। তবে বছর শেষে স্বামী রাজের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযোগ করে সম্পর্ক ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়ে বাসা ছাড়েন পরীমনি। বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় মিডিয়া জগতসহ নানা মহলে। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার শেষে আবারও রাজের সঙ্গে এক হয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী পরীমনি। রাজ সাথে একসঙ্গে থাকা প্রসঙ্গ নিয়ে যা জানালেন অভিনেত্রী পরীমনি।
রাজের বাসায় থাকছেন না পরীমনি নাকি রাজ থাকছেন না পরীমনির বাসায়- এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলছে আলোচনা। তাদের বিচ্ছেদ হওয়ার খবরও রয়েছে। তবে এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে পরীমনি বলেন, ‘আমরা আলাদা থাকি না, একসঙ্গে আছি, এক ছাদের নিচে আছি।’
এর আগে বুধবার রাতে ফেসবুকে একটি ছোট ভিডিও প্রকাশ করেন অভিনেত্রী পরীমনি। ভিডিওতে তাকে বেশ খোশ মেজাজে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি দেখার পর অনেকেই ধরে নিয়েছেন স্বামী রাজের সঙ্গে দ্বন্দ্বের অবসান হয়ে গেছে।
রাজের সঙ্গে মা/ন-অভিমান ও বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ঝগড়া হলেও তিনদিন ধরে আমরা এক ছাদের নিচে আছি। আমি মা হয়েছি, আমার সন্তান রাজ্যের জন্য সুন্দরভাবে বাঁচতে চায়। রাজ্যই এখন আমাদের সবকিছু।’
জানা গেছে, বুধবার রাত ১২টার দিকে তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমনি একত্রিত হন। এর প্রমাণ হিসেবে স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে নিজের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। বিস্তারিত জানতে চাইলে পরীমনি শুধু বলেন, ২০ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে আমার নতুন ছবি ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’। ছবিটির প্রচারে পুরোদমে কাজ করছি। আমি আপাতত এই ছবি নিয়েই থাকতে চাই।”
এর আগে বছরের প্রথম দিন মধ্যরাতে পরীমনি এক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘শুভ থার্টি ফার্স্ট সবাইকে! আজ আমি রাজকে আমার জীবন থে/কে ছুটি দিয়ে অসুস্থ সম্পর্ক থেকে নিজেকে মুক্ত করেছি। জীবনে সুস্থ থাকার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই।
গত বছর ‘গুণিন’ ছবির শুটিংয়ে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন পরী ও শরিফুল রাজ। গোপনে বিয়ে করার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিজের বিয়ে ও গর্ভধারণের কথা জানান পরী। গত ১০ আগস্ট রাজ-পরীর কোল আলো করে আসে পুত্রসন্তান, শাহেম মুহাম্মদ রাজ্য নাম রাখা হয় তার।
প্রসঙ্গত, স্বামী রাজের সঙ্গে আছেন বলে জানান অভিনেত্রী পরীমনি। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি এখন আর কিছু বলতে রাজি নন তিনি তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চান বলে জানান।