সব কষ্ট বুকে চেপে রেখে মেয়েটার মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছি : আকবরের স্ত্রী

বাংলা সঙ্গীতাঙ্গনের আলোচিত মুখ ছিলেন কন্ঠশিল্পী আকবর আলী গাজী। নিজের গানের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে দর্শক ও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছিলেন। যদিও তিনি অসংখ্য গান গায়নি তবে তার গাওয়া গান সকল শ্রেণীর মানুষ কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর চিকিৎসারত অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই গায়ক। তার চলে যাওয়া ও স্মৃতিচারন করে যা জানালেন স্ত্রী কানিজ ফাতেমা।

প্রায় চার মাস আগে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান গায়ক আকবর। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন গায়কের স্ত্রী ও মেয়ে। কিন্তু আকবরের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা মেয়ের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়াত আকবরের নামে খোলা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি এখনও সক্রিয় রয়েছে। ব্যবহার করছেন তার স্ত্রী ও মেয়ে। তারা বিভিন্ন সময় স্ট্যাটাস দিয়ে তাদের অবস্থান জানান।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেয়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করেন কানিজ ফাতেমা। তিনি লিখেছেন, ‘যার জীবন থেকে হারিয়ে যায়, তারাই বোঝে হারানোর বেদনা। অথৈ’র বাবা ছি/লেন আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তাকে ছাড়া আমার জীবন কল্পনাও করিনি। কিন্তু ঈশ্বর আমাদেরকে কোনো কারণে আলাদা করেছেন।

আকবর পত্নী আরও লিখেছেন, ‘একটি মেয়ের জীবনের সৌন্দর্য তার স্বামী। অথৈ’র বাবাকে হা/রানোর পর একটা মেয়ের একাকী সমাজে বেঁচে থাকা কতটা কঠিন সেটা আ/মি বুঝতে পারছি। তবুও মেয়েটির জন্য আমাকে লড়াই করে বাঁচতে হবে। সব কষ্ট বুকে চেপে রেখে মেয়েটার মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

প্রসঙ্গত, প্রায় ১৮ বছর আগে আকবর আলি গাজী কিশোর কুমারের গান ইত্যাদি মঞ্চে গেয়ে পরিচিতি পান। এরপর বাজিমাত ক/রেন মৌলিক গান ‘তোমার হাত পা/খার বাতাসে’ পরিবেশন করে। গানটির অডিও ও ভিডিও দুটোই সুপার হিট হয়েছে। দেশ-বিদেশের মঞ্চে গান গেয়ে জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু আকবর হঠাৎ কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। ডায়াবেটিসও হয়। জীবনের ছন্দ ঘটে। বহু বছর ধরে তিনি ভুগছিলেন।

কিডনির জটিলতায় গত ৫ নভেম্বর আকবরকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ১৩ নভেম্বর আকবর মা/রা যান। যশোরের কারবালা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

প্রসঙ্গত, স্বামীকে হারিয়ে কঠিন সময়ের পার করেছে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে জানান আকবরের স্ত্রী। তার চলে যাওয়াটা সংসার জীবনে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে তাকে মন্তব্য করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *