
সম্প্রতি লাগামহীন দু/র্নীতি ও অবৈধ্য ভাবে বিদেশে টাকা পাচারের কারনে সমগ্র অথনৈতিক ব্যবস্থা হু/মকির মুখে পড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাংকিং সেক্টরসহ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে। কিন্তু এসব বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো্ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার কারনে ব্যাংকগুলো ইচ্ছা মতো নামে-বেনামে ঋণ দিয়েছে। আর এ কারনে কয়েকটি ব্যাংকের অর্থ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনার পিছনে সরকারের শীর্ষ মহল জড়িত রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এবার বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ১২৫০ কোটি টাকা ধার নেওয়া সম্পর্কে যা জানাগেল।
বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (এনআরবি গ্লোবাল) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরও ১২৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দু’টি ব্যাংককে তারল্য সহায়তা হিসেবে অর্থ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুটি ব্যাংক সুকুক বন্ড জমা দিয়ে এই আর্থিক সহায়তা নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ব্যাঙ্কগুলোর অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা দেওয়া হবে।
ঋণ অনিয়মের বিষয়টি আলোচনায় আসার পর হঠাৎ করেই তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো। অনেক গ্রাহক এই ব্যাঙ্কে তাদের আমানত অন্য ব্যাঙ্কে সরিয়ে নিচ্ছেন। সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংককে ঋণ দেওয়ার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য তারল্য সুবিধা চালু করা হয়েছে। ইসলামি ব্যাংকগুলোকে মূলত দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে এই সহায়তা দেওয়া হবে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) নতুন সুবিধা চালুর ঘোষণা দেওয়ার পর মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পাঁচটি ব্যাংক হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। পাঁচটি ব্যাংকই একই গ্রুপের মালিকানাধীন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, সুকুকের বিপরীতে ইসলামি ব্যাংকগুলো প্রয়োজন মতো টাকা নিতে পারবে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের চালু করা নতুন তারল্য সুবিধার আওতায় ইসলামী ব্যাংকগুলো সুকুক (শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ বন্ড) জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নেওয়া শুরু করেছে। ইসলামী ব্যাংকগুলো এখন ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে।
ইসলামী ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকগুলোর হাতে সংবিধিবদ্ধ আমানতের বাইরে বেশি বন্ড নেই। এর জন্য তারা বেশি টাকা ধার করতে পারবে না। তাই ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তিত এসব ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি দেওয়া ঋণ আদায়ের চেষ্টা করছে ইসলামী ব্যাংক। তবে, এই তহবিলগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়েছে, তাই এগুলো শীঘ্রই ফিরে আসছে না। আর অন্যান্য ইসলামী ব্যাংকগুলোও তারল্য সংকটের কারণে এসব ব্যাংক থেকে টাকা পাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন ঋণের দেওয়া কারনে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। কিন্তু কেন হঠাৎ তারল্য ঘাটতি পড়েছে ব্যাংকগুলোতে সেটির সম্পর্কে স্পষ্ট করা হয়নি।