বাংলা সিনেমার আ/লোচিত অভিনেতা হিরো আলম। একসঙ্গে গান, অভিনয় ও প্রযোজনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। যদিও তার কাজের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কিন্তু সে বিষয়কে পাত্তা না দিয়ে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি বগুড়ায় এমপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলে তিনি জয়ী হওয়ার স্বতেও ফলফলা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করলে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। হিরো আমলকে কেন্দ্র করে যা বললেন অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়।
কয়েক বছর আগে ভাস্কর্যটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। ভাস্কর্যটি নির্মাণের কাজ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্র উত্তম কুমার। সম্প্রতি এর কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান হিরো আলম।
এদিকে কয়েকদিন আগে ভাস্কর্যটির একটি পুরনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন হিরো আলম। এরপর উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় তার টাইমলাইনে সেই ছবি পোস্ট করে বলেন, ‘হিরো আলমকে নিয়ে যারা লাফায়, তাদের থামাতে পারে একমাত্র সরকার।তবে হিরো আলমকে নিয়ে আলোচনার কথা বলে তোপের মুখে পড়েছেন অভিনেতা নিজেই।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে হিরো আলমকে নিয়ে লেখেন জয়, “বাংলাদেশের মানুষ শিক্ষিত, উন্নত, নম্র, বিবেকবান, কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। জনগণের দয়া, ভদ্রতা ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের ওপর এক অদ্ভুত বিনোদন চাপিয়ে দিয়েছে।”
তবে হিরো আলমকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্য সরকারকে দায়ী করেন উপস্থাপক। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন- ‘যা প্রতিনিয়ত প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, যা প্রকৃত শিল্পীদের অপমান করছে। এজন্য সরকারকে দায়ী করছি যে, তাকে নিয়ে যারা ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের থামাতে পারে একমাত্র সরকার।
এদিকে হিরো আলমকে নিয়ে কথা বলে তোপের মুখে পড়েছেন নিজেই। পোস্টের কমেন্ট সেকশনে বেশিরভাগ নেটিজেনই জনপ্রিয় হিরো আলমের পক্ষে কথা বলেছেন। ব্যক্তি হিসেবে হিরো আলমের ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে বলেও কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন।
আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘হিরো আলম আপনার চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তার একটা ভা/ল মন রয়েছে। বোঝার চেষ্টা করুন। কখনো হিংসা করেন না।’ আরেকজন জয়কে জিজ্ঞেস করলেন- ‘হিরো আলমের প্রতি এত ঈর্ষা কেন?’
প্রসঙ্গত, হিরো আলম প্রসঙ্গে মন্তব্যে করায় এক ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভক্ত ও অনুরাগীদের কাছে অভিনেতা জয়। অনেকেই তাকে নিয়ে উল্টে প্রশ্ন তোলেন।